আবারও বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারী ক্রীড়াবিদ হয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তার প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি, স্প্যানিশ গলফার জন রাম, মার্কিন বাস্কেটবল তারকা লেব্রন জেমস এবং ফরাসি ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো বড় তারকাদের পেছনে ফেলে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন সিআর সেভেন।
ফোর্বসের মতে, ২০২৪ সালে রোনালদোর আয় ২৬ কোটি মার্কিন ডলার, যা তাকে এই তালিকার শীর্ষে এনেছে। লিওনেল মেসির আয়, যা ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার, রোনালদোর প্রায় অর্ধেক। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্প্যানিশ গলফার জন রামের আয় ২১ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ৪০ বছর পূর্ণ করবেন রোনালদো। কিন্তু বয়স যেন তার গতিকে থামাতে পারছে না। জাতীয় দল ও ক্লাব ফুটবলে গোলের পর গোল করছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড স্পনসরশিপ এবং ব্যক্তিগত ব্যবসা থেকে বিশাল অঙ্কের আয়ও রোনালদোকে এই শীর্ষস্থানে পৌঁছাতে সহায়তা করেছে।
তালিকার অন্যান্য অবস্থান:
জন রাম (গলফার): ২১ কোটি ৮০ লাখ ডলার
লিওনেল মেসি (ফুটবল): ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার
লেব্রন জেমস (বাস্কেটবল): ১২ কোটি ৮০ লাখ ডলার
কিলিয়ান এমবাপ্পে (ফুটবল): ১১ কোটি ডলার
রোনালদোর আয়ের উৎস:
রোনালদোর আয়ের বড় একটি অংশ এসেছে তার ক্লাব আল-নাসর থেকে প্রাপ্ত রেকর্ড স্যালারি। পাশাপাশি Nike, Herbalife এবং তার নিজস্ব ব্র্যান্ড CR7-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে স্পনসরশিপ চুক্তি তাকে বিশাল আয়ের সুযোগ করে দিয়েছে। ব্যক্তিগত ব্যবসা, যেমন পোশাক, সুগন্ধি এবং হোটেল চেইনও তার উপার্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং ভবিষ্যৎ:
রোনালদো ও মেসির মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম। এই দুই সুপারস্টারের আয় ও পারফরম্যান্স সবসময়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। তবে রোনালদোর সাম্প্রতিক শীর্ষস্থানে থাকা প্রমাণ করে যে, মাঠে এবং মাঠের বাইরে তার অবদান এখনও অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো শুধুমাত্র একজন ফুটবল তারকাই নন; তিনি একজন ব্র্যান্ড এবং ব্যবসায়িক আইকন। তার অসামান্য পারফরম্যান্স এবং নিরন্তর কঠোর পরিশ্রম তাকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদদের তালিকায় প্রথম স্থানে রেখেছে। এই সাফল্য প্রমাণ করে যে, বয়স কখনওই প্রতিভা এবং অধ্যবসায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।