
অনলাইন ডেস্ক:
ভেবেছিলেন, এই বুঝি সিনেমা ছেড়ে অন্য পেশায় নামতে হবে! হাতে ছিল না কোনো ছবিই। নতুন বছরের শুরুতে সমীকরণ আমূল বদলে গেল। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাঁচটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মাহিয়া মাহি।
‘আমি বিশ্বাস করতে পারিনি এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারব। খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আসলে ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকে কখনো বেকার থাকতে হয়নি। শিডিউল জটিলতায় বড় বড় নির্মাতাদেরও ফিরিয়ে দিতে হয়েছে একসময়। সেই আমিই কি না ছবিশূন্য ছিলাম! এমন পরিস্থিতি দাঁড়াবে কখনো ভাবিনি। নতুন বছরের শুরুটা আমার ক্যারিয়ারেরও নতুন শুরু এনে দিল’, বললেন মাহি।
সময়টাকে মাহি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস ভাবছেন। তাঁর ভাষায়, বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। ‘বুবুজান’-এ তিনি ধর্ষিতা নারী, তাঁর কোনো নায়ক নেই। ‘লাইভ’-এ তিনি বিবাহিতা নারী। স্বামী বড় বিজ্ঞানী। গবেষণা করতে বিদেশে যায়। তখন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন মাহি, যে সম্পর্ক কেড়ে নেয় অনেক প্রাণ। পর্দায় মাহিকে আগে এমন সব চরিত্রে দেখা যায়নি। মাহি বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা কিন্তু চারপাশে অহরহ ঘটছে। দুই বছর আগেও হয়তো এ ধরনের ছবিতে অভিনয়ে রাজি হতাম না। করোনা পরিস্থিতি আমাকে অনেক শিখিয়েছে। আগে শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে নেটফ্লিক্স, অ্যামাজনসহ অন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট দেখা হতো না। স্বেচ্ছাবন্দি সময়টাতে অনেক কনটেন্ট দেখেছি। বাস্তব জীবনের গল্পই সেখানে বেশি উঠে আসে। আমারও মনে হয়েছে কাল্পনিক ঘটনার চেয়ে আশপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে তৈরি ছবি বা ওয়েব ফিল্ম দর্শকদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য।’ঘুরে দাঁড়ানোর পর এবার মাহি ঠিক করেছেন, যেকোনো ছবিতে কাজ করার আগে জেনে নেবেন নির্মাতা কে? প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিংটাও দেখবেন। নির্মাতা ও প্রডাকশন মনমতো হলেই গল্প শুনতে চাইবেন।